সিলেটে বঙ্গবন্ধু কাপের জমজমাট আয়োজনকে আরও রঙিন করে তুলল বাংলাদেশ। জেলা স্টেডিয়ামে হাজার পনেরো দর্শককে আনন্দে ভাসিয়ে লাওসকে ১-০ গোলে হারিয়েছে জেমি ডে’র শিষ্যরা। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে সিলেটের ‘লোকাল বয়’ বিপলু আহমেদের পা থেকেই এসেছে জয়সূচক গোলটি।
কিন্তু আর একটু হলেই হাজার হাজার দর্শকের ফুটবলানন্দে জল ঢালা হয়ে যেত। কেননা, একের পর এক সহজ সুযোগ হারিয়ে বাংলাদেশ দল অলক্ষে যেন জানিয়ে দেয়, এই দলে গোল করার লোক নেই। গোলের এক গজ সামনে থেকেও এঁই ফুটবলাররা ছক্কা মারেন! সমস্যাটা যদিও নতুন নয়।
নতন উদ্যমে, নতুন টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বল পজেশনে এগিয়ে বাংলাদেশ। কিন্ত স্বাভাবিক খেলাটা খেলা যাচ্ছিল না আগের রাতে তীব্র ঝড়বৃষ্টিতে মাঠ ভারি হয়ে পড়ায়। তারপরও বাংলাদেশের প্রাধান্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। বাংলাদেশ নিজেদের খেলার ধরণটাও বদলে ফেলেছে এদিন। এশিয়ান গেমস ও সাফে ৪-২-৩-১ ছক থেকে বেরিয়ে ৪-৪-২ আক্রমনাত্মক ছক।
আগের ছকটা কাজ করছি না। সাফে প্রথম দুই ম্যাচ জিতেও বাংলাদেশ উঠতে পারেনি সেমিতে। তাই নতুন কিছু করার জন্যই নতুন পরীক্ষা কোচ জেমি ডের। প্রথম দিনেই সেটির সুফল পেয়েছে বাংলাদেশ। সাফের চেয়ে ভালো খেলেছে জামাল ভুইয়ারা। গোলকিপিং, বল পজেশন, মাঝ মাঠ থেকে খেলা তৈরি–সবকিছুতেই একটু বদল এসেছে।
কিন্তু পাওয়া যাচ্ছিল না গোল। অপেক্ষার প্রহর ফুরোল ৫৯ মিনিটে। গোলের অপেক্ষায় সবাই যখন উপগ্রীব, বক্সের ঢুকে পড়া জীবেনের শট ফিরিয়ে দেন লাওস গোলরক্ষক পাসুত। ফিরতি বলে সুফিলের টোকা ফিরে আসে। জীবনের হেড লাগে ক্রসবারে। এরপর বিপলু আহমেদের ছোট্ট প্লেসিংটা গোলরক্ষক গোলরক্ষকের পায়ে লেগে জালে জড়াতেই নেচে উঠেছে সিলেট স্টেডিয়াম।
এই গোল ধরে রেখে মাঠ ছাড়তে পারা বাংলাদেশ দলের জন্য বড় স্বস্তিরই। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে খেলার সুযোগটা যে ভালোভাবেই তৈরি হয়েছে। আগামীকাল ফিলিপাইনের কাছে লাওস হারলে বাংলাদেশ পা রাখবে সেমিফাইনালে। তবে ফিলিপাইনকে হারিয়ে দেবে লাওস বিশ্বাস করার লোক পাওয়া কঠিনই। ৫ অক্টোবর ফিলিপাইনের কাছে বাংলাদেশ দল হারলেও মনে হয় ক্ষতি নেই।