ক্রিকেট ও ফুটবলে নারী দলের উপস্থিতি থাকলেও বর্তমানে বাংলাদেশে হকিতে নারী দল নেই। এবার সেই গুরুত্বপূর্ণ কাজটিই করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। নারীদের দল গঠনের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে হকি ফেডারেশন। সে লক্ষ্যে আগামী মে মাসে নারীদের হকি চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। জানা গেছে, এবারের জাতীয় নারী হকি চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে আগামী মাসে। ১৬ জেলা অংশ নেবে এই টুর্নামেন্টে। দলগুলোকে আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি খেলার সরঞ্জাম দেবে টুর্নামেন্ট কমিটি।
সর্বশেষ নারীদের হকি মাঠে গড়েছিল ১৯৭৭ সালে। গঠিত হয়েছিল উইম্যান্স উইং হকি দল। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে মেয়েদের প্রথম কোনো হকি দল। সে দলে ছিলেন লাভলী, পুতুল, খুকী, হামিদা, মিউরেল, নাসিমা, কস্তুরী, শাকিলা, ডলি ক্রুজসহ আরও অনেকে। তাদের সময়ে অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ঢাকার মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে গড়িয়েছিল হকি প্রতিযোগিতা। চলেছিল ১৯৮২ পর্যন্ত। তারপর কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যায় নারী হকি। ২০১২ সালের মে মাসে আবারও মাঠে গড়ায় জাতীয় নারী হকির আসর। অংশ নিয়েছিল নয়টি দল। এরপর আরও ২/১টি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারপর স্থায়ী ভাবে হারিয়ে যায় নারী হকি।
নতুন করে শুরু করার বিষয়ে হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক বলেন, “ক্রীড়াঙ্গনের অন্যান্য ইভেন্টগুলোতে নারীদের সরব উপস্থিতি ঘটলেও হকিতে তারা উপেক্ষিত। তাই এখন নারীদের নিয়ে দল গঠনের চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। আগামী মাসেই একটা চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করতে চাই। এই চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে সেরাদের নিয়েই শুরু হবে অনুশীলন ক্যাম্প। সেখান থেকে গঠন করা হবে জাতীয় নারী হকি দল। ”
এছাড়া নারী হকি নিয়ে আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের (এফআইএইচ) রয়েছে লোভনীয় প্রস্তুাব। একটি দেশের পুরুষ জাতীয় দলের পাশাপাশি যদি নারী হকি দল থাকে তাহলে আন্তর্জাতিক হকি র্যাংঙ্কিংয়ে রেটিংয়ে পাওয়া যায় বোনাস পয়েন্টও। এছাড়া নারী হকি দল গঠন করতে পারলে হকির আন্তর্জাতিক ফেডারেশনের (এফআইএইচ) কাছ থেকেও বিশেষ অনুদান পাবার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের।